হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় বিএনপির জেলা কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়।
রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিকালে হবিগঞ্জ বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রা শেষে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশসহ দেড় শতাধিক মানুষ আহত হন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে জেলা আওয়ামী লীগ রবিবার বিকালে শায়েস্তানগর এলাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। এতে আওযামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
স্থানীয়রা জানান, হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষ শুরুর জন্য উভয় পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করেছে।
তবে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে।
সূত্র জানায়, রবিবার বিকালে নগরীতে মিছিল বের করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
মিছিলটি শায়েস্তানগর এলাকায় বিএনপির আঞ্চলিক কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আইনজীবী লুৎফুর রহমান এ সংঘর্ষের জন্য বিএনপিকে দায়ি করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হামলা করেছে। আমাদের নেতা-কর্মীরা তা প্রতিহত করতে গিয়ে সংঘর্ষের রূপ নেয়।’
শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন বলেন, ‘লগি, বৈঠা নিয়ে আওয়ামী লীগের মিছিল থেকেই জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক মেয়র জিকে গউছের বাসায় হামলা চালানো হয়েছে।’
তিনি জানান, সংঘর্ষে প্রায় একশ’ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম