অনলাইন ডেস্ক :
শক্তি-সামর্থ্যে পিছিয়ে থেকে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে খেললেও মাঠের লড়াইয়ে কোনো ছাড় দেয়নি ইন্টার মিলান। ভাগ্যের সহায়তা পেলে হয়তো বিজয়ীর বেশেই মাঠ ছাড়তে পারত তারা। সেটা না হলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দারুণ পথচলায় দল যেভাবে খেলেছে, তাতে গর্বিত সিমোনে ইনজাগি। ইটালিয়ান ক্লাবটির কোচ বললেন, শিরোপা না পেলেও কোনো আক্ষেপ নেই তার। ২০২২-২৩ মৌসুমের একটা পর্যায়ে ইন্টারের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। তাতে সমালোচনায় পড়তে হয়েছিল ইনজাগিকে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে তার দল ইটালিয়ান কাপ ও ইটালিয়ান সুপার কাপ জেতে। সেরি আয় হয় তৃতীয়। চমক দেখিয়ে জায়গা করে নেয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে। সিটির বিপক্ষে শনিবারের ফাইনালে জিতলে সেটা দারুণ কিছুই হতো ইন্টার ও ইনজাগির জন্য। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সঙ্গে সমানে সমান লড়াই করে দলটি। তবে শেষ রক্ষা আর হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধে রদ্রির করা একমাত্র গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় পেপ গুয়ার্দিওলার দল। দ্বিতীয়ার্ধেই গোলের দারুণ কিছু সুযোগ নষ্ট করে ইন্টারকে হতাশ করেন লাউতারো মার্তিনেস, রোমেলু লুকাকুরা। বাঁধ সাধে ক্রসবারও। তবে ম্যাচ শেষে কাউকে দোষারোপ করতে অস্বীকৃতি জানান ইনজাগি। স্কাই স্পোর্টস ইতালিয়াকে তিনি বলেন, মাঠে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেনি তার দল। “এরকম একটি রাতে আমি কোনো খেলোয়াড়ের দিকেই আঙুল তুলতে পারি না যে, কে গড়পড়তার চেয়ে নিচে খেলেছে। গত শনিবার বলেছিলাম, আমি আমার খেলোয়াড়দের অন্য কারো সাথে পরিবর্তন করব না এবং কারণটা এদিন রাতে সবাই দেখেছে।” “তারা পুরো বিশ্বকে দেখিয়েছে যে, তারা ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে কতটা ভালোভাবে লড়েছে, সবাই জানে (সিটি) এমন একটি দল যারা অনেক মানসম্পন্ন।” শেষটা প্রত্যাশানুযায়ী না হলেও ইউরোপ সেরা মঞ্চে দলের পারফরম্যান্স তৃপ্তি দিচ্ছে ইনজাগিকে। “আমি আমার খেলোয়াড়দের একে একে জড়িয়ে ধরেছিলাম, কারণ তারা অসাধারণ খেলেছে, ঠিক যেমনটা আমাদের ভক্তরাও ছিল। ভিন্ন একটা ফলাফল তাদের প্রাপ্য ছিল, তবে আমি আশা করি যে রাতে দল যেভাবে খেলেছে সেটা দেখে তারা খুশিই হয়েছে।”
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা