অনলাইন ডেস্ক :
স্পেন্সার টিউনিক প্রথম মৃত সাগরে তার লেন্স স্থাপন করার ১০ বছর পর বিশ্বখ্যাত এই আলোকচিত্রী আরেকবার ‘নগ্ন মানুষের পটভূমি’তে দ্রুত অদৃশ্যমান প্রাকৃতিক বিস্ময়কে ধারণ করেছেন। মার্কিন এই আলোকচিত্রী রোববার প্রায় ২০০ নর-নারীর অংশগ্রহণে ফটোশুটটি করেছেন। মনোরম শহর আরাদ-এ জড় হন তারা। সেখান থেকে ডেড সি দেখা যায়। টিউনিক বলেছেন, এই ফটোশুটের উদ্দেশ্য ডেড সির দ্রুত অবনতির অবস্থা তুলে ধরা, সচেতনতা জাগানো এবং একটি ডেড সি জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা। জানা গেছে, তিন শতাধিক নারী-পুরুষকে জমায়েত করে নগ্ন অবস্থায় ছবি তোলার ইচ্ছে ছিল স্পেন্সার টিউনিক-এর। কিন্তু সেখানে ২০০ নারী-পুরুষ অংশ নেন। তাদের বয়স ১৯ বছর থেকে ৭০ এর মধ্যে। টিউনিক বলেন, আমাদের সমুদ্রপৃষ্ঠকে টিকিয়ে রাখার বা সমুদ্রে মিঠা পানি আনার উপায় খুঁজে বের করতে হবে। কিন্তু একই সাথে সব দেশকে পানি দিয়ে ঘিরে রাখা দরকার। পানিই জীবন। টিউনিকের কাজগুলো প্রায়ই সামাজিক ও প্রাকৃতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা বিষয়ক। যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমাদৃত। আর এজন্য তিনি শহুরে এবং প্রাকৃতিক পরিবেশে ‘নগ্ন মানব স্থাপনা’ নির্মাণ করে থাকেন। টিউনিক বলেন, ইসরায়েলে ফেরা নানাকারণেই অন্যরকম। করোনাভাইরাসের কারণে ভ্রমণ নিষিদ্ধ ছিল ১৮ মাস বা তার অনেকটা বেশি সময় ধরে। এর মধ্যে অনেক কিছুই বদলেছে। আর আমার এই স্থাপন চিত্রকর্মের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো সচেতনতা জাগানো। নানারকম প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট বিপর্যয়ের কারণে প্রায় ধ্বংস হতে বসেছে ডেড সি। ২০১১ সালে এ বিষয়ে আমি আরেকবার সচেতনতা সৃষ্টি করতে চেয়েছিলাম। ১০ বছর পর আবার করতে চাচ্ছি। উদ্দেশ্য একটাই- ডেড সি বাঁচাতে সচেতনতা সৃষ্টি। তিনি আরো বলেন, আমি আশা করছি আমার এই নতুন কাজ এবং আরদে ডেড সি জাদুঘরের উদ্বোধন অনুপ্রাণিত করবে পদ্ধতি এবং প্রযুক্তিকে। যা পরিবেশগতভাবে ডেড সিকে পুনর্নির্মাণ ও পুররুদ্ধারে সাহায্য করবে। মানুষকে অনুপ্রাণিত করার নানা পদ্ধতি আছে আর আমি শিল্পের মাধ্যমে তা করে থাকি। এই স্থাপন-কর্মে অনেকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবেন। আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক বিস্ময় ও সম্পদকে সংরক্ষণের জন্য নিবেদিত। সূত্র : নিউ ডেইলি, টাইমস অব ইসরায়েল।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু