অনলাইন ডেস্ক :
ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের মধ্যাঞ্চলীয় নাতাঞ্জ শহর থেকে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের প্রস্তুতি পরীক্ষা করেছে। হঠাৎ করেই শহরের কাছে কয়েকদফা বিকট শব্দ হওয়ার কারণে শহরবাসী অনেকটা হতবিহ্বল এবং বিস্মিত হয়ে পড়েন। বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী আশ্বস্ত করে বলেছে, চিন্তার তেমন কোনো কিছুই নেই, ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে র্যাপিড রিঅ্যাকশন ফোর্সের প্রস্তুতি যাচাই করা হয়েছে। ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় নাতাঞ্জ শহরে দেশের গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনা অবস্থিত। সেখানে ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ করে থাকে। নাতাঞ্জ এয়ার ডিফেন্সের কমান্ডার জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ নিরাপদ এলাকায় এই মহড়া চালানো হয়েছে এবং এজন্য সমন্বিত এয়ার ডিফেন্স নেটওয়ার্কের সঙ্গে পুরোপুরি সমন্বয় করা হয়েছে। শহরে ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ এবং র্যাপিড রিঅ্যাকশন ফোর্সের মহড়ায় কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। স্থানীয় একটি সূত্র ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনাকে জানিয়েছে, নাতাঞ্জের মরুভূমি এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটেছে; এর সঙ্গে নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনার কোনো সম্পর্ক নেই এবং কোনো ক্ষয়ক্ষতিও হয় নি। সূত্রটি আরো জানিয়েছে, নাতাঞ্জ শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের সম্পূর্ণ নিরাপদ এলাকা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়। উল্লেখ্য, এর আগে কোনো কোনো খবরে জল্পনা করা হয় যে, শত্রুপক্ষের পাঠানো কোনো লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার জন্য ইরানের সামরিক বাহিনী ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে। এই লক্ষ্যবস্তুকে ড্রোন বলেই মনে করা হচ্ছিল। এর আগে ইরানের পরমাণু স্থাপনায় অন্তর্ঘাতমূলক হামলা হয়েছিল এবং তা নিয়ে শহরবাসী মধ্যে এক ধরনের সংবেদনশীলতা রয়েছে। নাতাঞ্জ শহরের কাছে এমন সময় এই ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া চালানো হলো যখন ইসরাইল বারবার হুমকি দিচ্ছে যে, ইরানকে কোনমতেই পরমাণু অস্ত্র তৈরি করার সুযোগ দেয়া হবে না; প্রয়োজনে ইরানের ওপর হামলা চালানো হবে। অবশ্য ইরান এসব হুমকিকে উড়িয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু