অনলাইন ডেস্ক :
কোনো ক্রিকেটার ফর্মহীনতায় ভুগলে তাঁর পাশে না দাঁড়িয়ে দল থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া উপমহাদেশের ক্রিকেট-সংস্কৃতি। ক্রিকেটবোদ্ধা থেকে শুরু করে মিডিয়া পর্যন্ত সেই ক্রিকেটারের পেছনে লাগে। চাপ সৃষ্টি করে। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় তো সেই ক্রিকেটারের পরিবারকে পর্যন্ত আক্রমণ করা হয়। গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পুরো বাংলাদেশ দল ব্যর্থ হয়েছিল। কিন্তু চারদিক থেকে এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছিল যে, লিটন দাস আর সৌম্য সরকারকে বাদ দিলেই বাংলাদেশ দল ভালো করতে শুরু করবে! শুধু সাধারণ ক্রিকেট দর্শকরাই নন, লিটন দাসকে দল থেকে বাদ দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন স্বয়ং পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম। ‘সুলতান অব সুইং’-এর সঙ্গে একমত ছিলেন আরেক পেস কিংবদন্তি ওয়াকার ইউনুস ও ওয়াহাব রিয়াজ। ‘এ স্পোর্টস’ টিভির সেই টক শোতে ওয়াসিম আকরাম স্পষ্ট বলেছিলেন, ‘বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের (প্রথম পর্ব) শুরু থেকেই মনে হচ্ছে লিটন দাস ঘুমিয়ে আছে। সে বাছাই পর্বে রান পায়নি, ভালো ফিল্ডিং করছে না। আমি নিশ্চিত নই, সে কেন এখনো দলে আছে।’ হ্যাঁ, বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর লিটন বাদ পড়েছিলেন টি-টোয়েন্টি দল থেকে। কিন্তু ঘরের মাঠের সেই সিরিজে পাকিস্তানের কাছে ৩-০ ব্যবধানে ধোলাই হয় বাংলাদেশ! সুতরাং আবারও প্রমাণিত হয়, কাউকে বাদ দিলেই দল ভালো করে না। সেই পাকিস্তানের বিপক্ষে সাদা পোশাকে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে নিজেকে জানান দেন লিটন। দুই ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ ধোলাই হলেও লিটন করেন যথাক্রমে ১১৪, ৫৯, ৬ এবং ৪৫। সেই ফর্ম তিনি টেনে নিয়ে গেছেন নিউজিল্যান্ডে। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের প্রথম ইনিংসে মনোমুগ্ধকর ব্যাটিংয়ে করেছেন ১৭৭ বলে ১০ চারে ৮৬ রান। দলকে নিয়ে গেছে সুবিধাজনক অবস্থানে। তাঁর ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দেখে ওয়াসিম-ওয়াকাররা কি তাঁদের কথা এবার ফিরিয়ে নেবেন?
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা