November 26, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, January 3rd, 2022, 8:23 pm

মনে মনে ভয়ে ছিলেন সুজন

অনলাইন ডেস্ক :

এটা সবাই জানে যে, টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন ক্রিকেটারদের খুব কাছের মানুষ। ক্রিকেটারদের মাঝে তাঁর জনপ্রিয়তাও ব্যাপক। এ জন্যই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের দেখভাল করার জন্য তাঁকে ‘টিম ডিরেক্টর’ বানানো হয়েছে। খালেদ মাহমুদ এখন দলের সঙ্গে আছেন নিউজিল্যান্ড সফরে। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে তৃতীয় দিন শেষে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। দারুণ ব্যাটিং করছেন ব্যাটাররা। এমতাবস্থায় দলে স্বস্তির সুবাতাস। তবে খালেদ মাহমুদ সুজন জানালেন, মনে মনে তিনি ভীত ছিলেন। তবে তা গোপন রাখেন। সুজনের ভয়ে থাকার যথেষ্ট কারণ আছে। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এর আগে কোনো ফরম্যাটেই সফল হয়নি বাংলাদেশ। একটাও ম্যাচ জিততে পারেনি। টেস্টে বেশির ভাগই ইনিংস পরাজয়। তাই সুজন ভাবছিলেন সাকিব-তামিম ছাড়া এমন অনভিজ্ঞ ব্যাটিং লাইন-আপ নিয়ে নিউজিল্যান্ডে না জানি কী হয়! কিন্তু দল যেভাবে খেলছে, তাতে তিনি উচ্ছ্বসিত। সাবেক এই অধিনায়কের চাওয়া, টেস্টের বাকি দুই দিনেও ধারাবাহিকতা ধরে রেখে ড্র করে ফেলুক টাইগাররা। সোমবার তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘আমি সবার সঙ্গে আলাদা করে কথা বলতে পছন্দ করি, চেষ্টা করি অনুপ্রাণিত করতে। দল হিসেবে সবাইকে একটি কথা বলেছিলাম, আমরা এখানে ১০ টেস্ট (আসলে ৯টি) খেলে সব হেরেছি। তবে ২০১৭ সালে ওয়েলিংটনে একটি ম্যাচে ৫৯৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে হেরে গিয়েছিলাম। আমি বলেছিলাম, আমরা তো বারবার হারতে পারি না। একটা গ্রুপকে হাত তুলতে হবে, ভালো করতে হবে। সেটা এই গ্রুপই কেন হবে না? এই গ্রুপই ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি।’ দলের অনভিজ্ঞ লাইন-আপ নিয়ে ভয় ছিল সুজনের। কিন্তু সেই ব্যাটিং লাইন-আপই দেড় দিনে ১৫৬ ওভার খেলেছে। তাই সুজনের উচ্ছ্বাস আরো বেশি, ‘ভয় ছিল একটা, সত্যি বলতে। এত তরুণ একটা দল, আমাদের টপ অর্ডার ব্যাটিং যদি দেখি, সাদমান, জয় ও শান্ত, পরের দিকে ইয়াসির ও লিটন, কেউ এতটা অভিজ্ঞ নয়। তবে প্রত্যেকের সামর্থ্য আছে ভালো খেলার। সুনির্দিষ্ট কিছু ট্রেনিং করা, কী করব এখানে, কী অনুশীলন হবে, এসব নিয়ে ছেলেরা অনেক ফোকাসড ছিল ও কষ্ট করেছে। ভালো খেলার জন্য সব কিছু করেছে ওরা। আমাদের বিশ্বাস ছিল যে পারব। ওই প্রেরণাই সবাইকে দেওয়ার চেষ্টা করেছি যে, তোমরা পারবে।’