অনলাইন ডেস্ক :
সবশেষ রাউন্ডে দুই দলের দুইরকম ফলাফলে পয়েন্ট টেবিলে কমেছে ব্যবধান। তাতে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা লড়াই আরও জমে ওঠার ইঙ্গিত মিলেছে। লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের মতে, শিরোপা জিততে হলে এখন থেকে প্রতিটি ম্যাচেই তাদের জয়ের কথা ভাবতে হবে। ম্যানচেস্টার সিটিও একই লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি। গত শনিবার টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে ৩-২ গোলে হেরে যায় শিরোপাধারী সিটি। একই দিনে নরিচ সিটির বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৩-১ গোলে জয় পায় লিভারপুল। এতে শীর্ষে থাকা সিটির সঙ্গে ব্যবধান ৬ পয়েন্টে নেমে আসে ক্লপের দলের। ২৬ ম্যাচে সিটির ৬৩ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে লিভারপুল। নিজেদের পরের ম্যাচে তারা আগামী বুধবার লিডস ইউনাইটেডকে হারাতে পারলে ব্যবধান নেমে আসবে ৩ পয়েন্টে। তাই ২০১৮-১৯ আসরের মতো আরেকটি জমজমাট শিরোপা লড়াইয়ের আভাস মিলছে। সেবার লিভারপুলের চেয়ে ১ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে শিরোপা জিতেছিল সিটি। গত শনিবার নিজেদের জয়ের পর সিটির ম্যাচেও চোখ রেখেছিলেন ক্লপ। মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে এই জার্মান কোচ বলেন, পেপ গুয়ার্দিওলার দলের হারে অবাক হয়েছিলেন তিনি। “যখন টটেনহ্যাম ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল, তখন আমি বাড়ি ফেরার পথে ছিলাম। এরপর আমি খেলা অনুসরণ করিনি কারণ, নিশ্চিত ছিলাম সিটি সমতা ফেরাবে।” “তারপর আমরা বাইরে গিয়েছিলাম এবং ড্রাইভার উত্তেজিতভাবে আমাকে বলল, স্কোরলাইন ৩-২, আমি ধরে নিয়েছিলাম সিটি জিতেছে। (টটেনহ্যাম জিতেছে জেনে) আমি খুব অবাক হয়েছিলাম।” এতেই সবকিছু বদলে যায়নি বলে মনে করেন ক্লপ। এখন নিজেদের প্রতি ম্যাচেই জয়ের দিকে নজর তার। “কিছুই পরিবর্তন হয়নি। আমাদের সব ম্যাচ জিততে হবে। আমাদের ধারণা, তারাও (সিটি) তাদের সব ম্যাচ জিতবে। অবশ্যই যদি এটা (ব্যবধান) ১২ বা ১৫ পয়েন্ট হতো, তাহলে পুরোপুরি ভিন্ন পরিস্থিতি হতো।” “আমাদের অনেক ম্যাচ খেলতে হবে। যদি আমরা সেগুলো জিততে পারি তাহলে শিরোপা লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। জিততে না পারলে হয়তো তেমন কিছু হবে না। আমি নিশ্চিতভাবেই বুঝতে পারছি, শিরোপা লড়াই নিয়ে মানুষ রোমাঞ্চিত, কারণ তারা (সিটি) আর পুরোপুরি নাগালের বাইরে নেই।” সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সবশেষ ১০ ম্যাচের ৯টিতেই জিতেছে লিভারপুল। মৌসুমে তাদের চারটি ট্রফি জয়ের সম্ভাবনা এখনও টিকে আছে। দলের সাম্প্রতিক ফলাফলে খুশি ক্লপ। একই সঙ্গে তিনি সতর্ক লিডসকে নিয়ে। “গত কয়েক সপ্তাহের ফলাফল নিয়ে আমি সত্যিই খুশি। ছেলেরা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় কিছু পয়েন্ট পেয়েছে, তাতে আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে। কিন্তু আমাদের এখন শুধু লিডসকে নিয়ে ভাবতে হবে।” “অবিশ্বাস্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি ম্যাচ এবং বড় লড়াইয়ের জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। লিডসকে নিয়ে যদি একটি কথা বলতে হয়- তারা কখনও হাল ছাড়ে না।” অ্যানফিল্ডের এই ম্যাচে দুই ফরোয়ার্ড দিয়োগো জটা ও রবের্তো ফিরমিনোকে পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন ক্লপ। আগামী রোববার লিগ কাপের ফাইনালে চেলসির বিপক্ষেও তাদের খেলা অনিশ্চিত।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা