চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজে ছাত্রলীগের আন্দোলন ও চাপের মুখে দুই শিক্ষক নেতা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
কলেজের বর্ষপঞ্জিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি না দেয়ার অভিযোগ তুলে দুই শিক্ষক নেতা শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক আজম মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত ও শিক্ষক ক্লাবের সম্পাদক মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
তাদের দাবির মুখে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ও শিক্ষক ক্লাবের সম্পাদক কলেজের অধ্যক্ষ ড. সুদীপা দত্তের কাছে এ পদত্যাগ পত্র জমা দেন।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম সিটি কলেজ মুদ্রিত একাডেমিক বর্ষপঞ্জি (আপন ভুবন) বের হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি অবমাননার অভিযোগ তুলে ছাত্রলীগ নেতারা। গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে তারা। এ সময় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে চার দফা দাবি কলেজ অধ্যক্ষ বরাবর উপস্থাপন করা হয়।
দাবিগুলো হল- শিক্ষক ক্লাব ও শিক্ষক পরিষদের দায়িত্ব থেকে দুই শিক্ষক নেতাকে অব্যাহতি প্রদান। মুদ্রণ কমিটির আহ্বায়ক মো. আলমগীর ও সদস্য সচিব আরিফ মঈন উদ্দিন খানের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ। বর্তমান মুদ্রিত একাডেমিক বর্ষপঞ্জি (আপন ভুবন) ২০২৩ বাজেয়াপ্ত করে পুনঃসংস্করণ করা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ও প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর শিক্ষকদের ভবিষ্যতে কলেজে অনুষ্ঠেয় জাতীয় দিবস ও অন্যান্য অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য গঠিত বিভিন্ন উপ-কমিটিতে যাতে দায়িত্ব অর্পণ করা থেকে বিরত রাখা।
সুদীপা দত্ত বলেন, ছাত্রলীগের দাবির প্রেক্ষিতে শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক আজম মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত ও শিক্ষক ক্লাবের সম্পাদক মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দিন পদত্যাগ করেছেন। তারা আমার কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন।
এ ব্যাপারে পদত্যাগকারী দুই শিক্ষক নেতা মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আশীষ সরকার নয়ন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি অবমাননাকারী আজম মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত ও মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে শুরু থেকেই আন্দোলন করে আসছি। আমাদের দাবির মুখে ওই দুই শিক্ষক তাদের পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর কয়েকদির আগে চট্টগ্রাম সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে ছাত্রলীগ নেতাকে নকল করতে বাধা দেয়ার কারণে কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী নাঈমের হাতে লাঞ্ছিত হন শিক্ষক মুজাহিদুল ইসলাম। ওই ছাত্রলীগ নেতা শিক্ষককে মেরে বদলির হুমকি দেয় এবং গালাগাল করে।
সহকর্মীকে এমন লাঞ্ছনার ঘটনার প্রতিবাদ করেন ওই কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুবীর দাশ। এ ঘটনার কোনো ধরনের সুরাহা না হওয়ায় পদত্যাগ করেন তিনি।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম