May 10, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, March 7th, 2024, 9:05 pm

রাইড-শেয়ারিংয়ে বাড়ছে ঢাকার কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ

রাইড শেয়ারিংয়ের সুবিধা পাওয়ায় ২০২৮ সালের মধ্যে প্রায় তিন লাখ নারী ঢাকায় বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে যুক্ত হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে এ সংক্রান্ত অ্যাপ উবার।

বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগ বৃদ্ধিতে রাইড-হেইলিং প্ল্যাটফর্মের ভূমিকার ওপর আলোকপাত করে বৃহস্পতিবার “রাইড-হেইলিং: আ প্ল্যাটফর্ম ফর উইমেন’স ইকোনমিক অপরচুনিটি ইন বাংলাদেশ” শীর্ষক একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে উবার ও অক্সফোর্ড ইকোনমিকস।

এতে বলা হয়, কর্মক্ষেত্রে আরও বেশি সংখ্যক নারীকে যুক্ত করতে এ সার্ভিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে প্রতিবেদনটিতে প্রকাশ করা হয়েছে।

এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৮ সালের মধ্যে ঢাকার নারী কর্মীর হার বাড়তে পারে ১৩ শতাংশের বেশি। রাইডশেয়ারিং সুবিধার ফলে প্রায় ৩ লাখ নারী ঢাকার কর্মক্ষেত্রে যোগ দেবেন। এতে ঢাকার অর্থনীতির আকার ১ দশমিক ৫ শতাংশের বেশি বাড়বে।

ঢাকার নারী ও পুরুষদের রাইডশেয়ারিং সংক্রান্ত আচরণ সম্পর্কে ধারণা পেতে চালানো জরিপে দেখা গেছে, রাইডশেয়ারিং সার্ভিসের সহজলভ্যতার কারণে তারা কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে সক্ষম হয়েছেন বলে প্রতি ৩ জনে ১ জনের বেশি নারী যাত্রী জানিয়েছেন।

প্রতিবেদনটি প্রসঙ্গে বিআরটিএ চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, ‘নিরাপদ ও বিশ্বস্ত পরিবহন নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, এবং রাইড-হেইলিং সেবাসমূহ এই প্রয়োজনীয়তা পূরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উবারের গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল নারী ক্ষমতায়নের জন্য আমাদের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে। বাংলাদেশে নারীদের নিরাপদ চলাচল এবং অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ বাড়ানোর এই ভূমিকা ও উদ্যোগের প্রতি আমি প্রশংসা ও সমর্থন জানাচ্ছি।’

উবার বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড নাশিদ ফেরদৌস কামাল বলেন, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য যাতায়াত ব্যবস্থার ফলে আরও বেশি সংখ্যক নারীর জন্য কর্মশক্তিতে যোগ দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয় বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। উবার ও অন্যান্য রাইডশেয়ারিং সার্ভিসগুলোকে এই ‘জেন্ডার কমিউট গ্যাপ’ সমাধানে কাজ করছে। এর মাধ্যমে নারীরা নিরাপদে ও সুবিধাজনকভাবে সরাসরি কমর্স্থল বা নিজের কাছাকাছি গণপরিবহন স্টেশন পর্যন্ত যাতায়াত করতে পারেন।

অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের লিড ইকোনমিস্ট বালি কৌর সোধি বলেন, ‘উদীয়মান বাজারে নারীরা এখনো গৃহস্থালি ও সেবা প্রদানের কাজ বেশি করে থাকেন। এই প্রতিবেদন নারীদের কর্মশক্তিতে প্রবেশ বা কর্মজীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য যাতায়াতের বাধা দূর করতে সহায়তার লক্ষ্যে প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য একটি প্রমাণ-ভিত্তিক নীতির সুপারিশ করে।

—–ইউএনবি