May 8, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, December 21st, 2023, 9:14 pm

স্থবির সিলেটের পর্যটন: সংশ্লিষ্টদের হতাশা

এস এ শফি, সিলেট :

রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অবরোধের কারণে সারাদেশের ন্যায় সিলেটের পর্যটন খাতে ধস নেমেছে। এমন অস্থির সময়ে মানুষ ভ্রমণ করতে অনিচ্ছুক। তাই নানান সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পরও পর্যটনের ভরা মৌসুমে প্রত্যাশিত সংখ্যক পর্যটক পাওয়া যাচ্ছে না-এমন মন্তব্য পর্যটন সংশ্লিষ্টদের। সিলেটের হোটেল-রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো এখন প্রায় গ্রাহকহীন। চলমান অচলাবস্থা অব্যাহত থাকলে এ খাতে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অথচ দেশে পর্যটন মৌসুম সাধারণত নভেম্বর থেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলে। শীতের মাসগুলোয় থাকে ভরা মৌসুম। আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে পর্যটনশিল্পে কিছুটা গতি ফেরার সম্ভাবনা থাকলে ও নিরাপত্তা ঝুকিতে সে সম্ভাবনা ও ক্ষীন হয়ে এসেছে। ফলে এ শিল্পে জড়িতদের মধ্যে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।

সিলেট বিভাগের অর্থনীতিও এখন প্রায় পর্যটননির্ভর। সারা বছরই সিলেটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে পর্যটকরা আসেন। কিন্তু বর্তমান এই পরিস্থিতিতে লাগাতার অবরোধে খা-খা করছে সিলেটের হোটেল-রিসোর্টগুলো। কোনো উৎসব অনুষ্ঠান ছাড়াও সারা বছরই পর্যটকরা সিলেটে আসেন। এ ছাড়া সাপ্তাহিক সরকারি ছুটির দিনগুলোতেও পর্যটকদের ভিড় থাকে। হোটেল-রিসোর্টগুলোতে দেওয়া থাকে অগ্রিম বুকিং। রেস্টুরেন্টগুলোতে থাকে উপচে পড়া ভিড়। কিন্তু চলমান রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে পর্যটননির্ভর এই ব্যবসাগুলো। অনেকেই বাতিল করেছেন হোটেল-রিসোর্টের বুকিং। এছাড়া সিলেটের রেস্টুরেন্টগুলোতেও নেই ভিড়।

নগরীর জল্লারপাড়স্হ গ্রান্ড প্যালেস হোটেল এন্ড রিসোর্টের ম্যানেজার ফারুক রশিদ বলেন, গাড়ি বন্ধ, মার্কেট বন্ধ, মানুষ স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারছেন না। এর খারাপ প্রভাব আমাদের ব্যবসায় পড়েছে। নির্বাচনকে ঘিরে কিছুটা আশাবাদী হলে ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারনে ভরা মৌসুমে ও আশানুরূপ ব্যবসা করা সম্ভব হচ্ছে না।

সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও নির্ভানা ইনের স্বত্তাধিকারী তাহমিন আহমদ বলেন, নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক সহিংসতা শুরু হয়েছে। সহিংসতার কারণে ব্যবসায়ীদের দোকানপাট বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এবারের অবরোধে সিলেটে প্রতিদিন প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।