অনলাইন ডেস্ক :
উপমহাদেশের অনেক চলচ্চিত্র নির্মাতার গড়ে ওঠার পেছনে সত্যজিৎ রায়ের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে। গত ৫০ বছর ধরে যারা জীবনঘনিষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাণে আগ্রহী হয়েছেন তাদের প্রায় বেশিরভাগেরই আদর্শ নির্মাতা সত্যজিৎ রায়। এমন ভাবাবেগ নিয়েই বাংলাদেশ থেকে ‘প্রিয় সত্যজিৎ’ নামে একটি ট্রিবিউট ফিল্ম নির্মাণ করছেন তরুণ নির্মাতা প্রসূন রহমান। সম্প্রতি কিশোরগঞ্জের মসূয়া’য় সত্যজিৎ রায়ের দাদা উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর বাড়িসহ আরও দুটি জায়গায় এবং পুরনো ঢাকার একটি বাড়িতে শেষ হয়েছে এর চিত্রধারণের কাজ। এ মুহূর্তে চলচ্চিত্রটি রয়েছে সম্পাদনার টেবিলে। নির্মাতা জানিয়েছেন, ‘এটি হচ্ছে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষে বাংলাদেশ থেকে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।’ গল্পসূত্র হিসেবে নির্মাতার বর্ণনা এমন- এর কাহিনি ৩ সময়ের ৩ জন চলচ্চিত্র নির্মাতাকে নিয়ে। প্রথমজন সত্যজিৎ রায় নিজে। যিনি উপস্থিত না থেকেও সেখানে বিরাজমান। আর অন্য দুজন পরবর্তী ২ প্রজন্মের। সত্যজিৎ রায় ও তার সৃষ্টিকে সাথে নিয়ে তার দাদা উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর বাড়ি পরিভ্রমণের সূত্রে নবীন নির্মাতা অপরাজিতা হক আবিষ্কার করেন, সত্যজিৎ রায় নির্মিত ‘অপু ট্রিলজি’র সাথে জুড়ে থাকা প্রবীণ নির্মাতা আসিফ মাহমুদের অন্য এক গল্প। যেখানটায় আলো পড়ে না কখনও। প্রবীণ নির্মাতা আসিফ মাহমুদের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আহমেদ রুবেল আর নবীন নির্মাতা অপরাজিতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন মৌটুসী বিশ্বাস। আরও কয়েকটি বিশেষ চরিত্রে রয়েছেন পংকজ মজুমদার, সাইদ বাবু, সঙ্গীতা চৌধুরী, লাবণ্য চৌধুরী, এহসানুল হক, নুসরাত জাহান নদী ও আবীর। অপরাজিতার সহযোগী ফিল্ম-ক্রু এর চরিত্রে অভিনয় করছেন সত্যিকারের কলাকুশলীদের কয়েকজন। তাদের মধ্যে রয়েছেন- চিত্রগ্রাহক নাজমুল হাসান, রাসিফ চৌধুরী, মুখর, আবিহা, শামিম ও জাফর প্রমুখ। চলচ্চিত্রটি নির্মিত হচ্ছে প্রসূন রহমানের নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা ইমেশন ক্রিয়েটরের ব্যানারে। চলচ্চিত্রটি আগামী মার্চ ও এপ্রিলে কিছু উৎসবে অংশগ্রহণের পর মে মাসের ২ তারিখ সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদর্শিত হবে। এরপর মুক্তি পাবে ওটিটি প্লাটফর্মে। প্রসূন রহমান এর আগে নির্মাণ করেছেন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘সুতপার ঠিকানা’ (২০১৫), ‘জন্মভূমি’ (২০১৮), ‘নিগ্রহকাল’ (২০১৯) এবং সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘ঢাকা ড্রিম’ (২০২১)। নির্মাণ করেছেন প্রামাণ্য চলচ্চিত্র- ‘রাইস এ- প্রে’, ‘ফেরা’, ‘নদী ও নির্মাতা’, ‘ব্যালাড অফ রোহিঙ্গা পিপল’ (৭ পর্ব) ‘এই পুরাতন আখরগুলি’ এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসনির্ভর পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রামাণ্য চলচ্চিত্র- ‘মার্চ টু ডিসেম্বর’।
আরও পড়ুন
যেখানে পেলেকে ছাড়িয়ে গেলেন মেসি
দুবাইয়ের গোল্ডেন ভিসা পেলেন শাকিব
যেকোনো পুরস্কারই আনন্দের এবং অনুপ্রেরণার: মিথিলা